Tuesday, 30 July 2013

অশাদী একাদশীর পুণ্য তিথীতে বাপুর যাত্রা শ্রী বিথ্যল মন্দির ওদালাতে (Bapu’s Visit to Shree Vitthal Mandir, Wadala on the occasion of Aashadhi Ekadashi)

১৯শে জুলাই ২০১৩ অশাদী একাদশীর পুণ্য তিথিতে সদগুরু বাপু এবং নন্দাই শ্রী বিথ্যল ও রখুমাইয়ের বিথ্যল মন্দির ওদালাতে মহা অভিষেক (consecration)ও পূজন করেন,এই প্রাচীন মন্দির ৩৯৭ বছরের পুরোনো মন্দির।এই মন্দিরের আর একটি প্রসিদ্ধ নাম হলো প্রতি পান্ধারপুর ।মন্দিরের অধিকর্তারা বিশেষ ভাবে বাপু এবং নন্দাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন যাতে তাদের উপস্তিতিতে এই পুণ্য দিনে এই ধর্মিয় অনুষ্ঠান আরো সুন্দর ও পবিত্র হয়ে ওঠে ।

মোঠি  আইয়ের উপাসনা ও অর্চনা করে বাপু এবং নন্দাই মহা অভিষেকে অংশগ্রহণ করার জন্য ওনাদের বাড়ি থেকে বের হলেন ।মহা অভিষেক শুরু হবার কথা ছিল ভোর ৪টের  সময় ,কিন্তূ বাপু নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন ।বাপুকে সাদর অভ্যর্থনা জানালেন মন্দিরের ট্রাস্টের  সভাপতি শ্রী শশীকান্ত জ নায়েক, মন্দিরের ট্রাস্টের কোষাধক্ষ্য শ্রী উদয় স দীঘেএবং মন্দিরের ট্রাস্টের  সচিব শ্রী প্রশান্ত অ মাত্রে ।

মন্দিরের অধিকর্তাদের সঙ্গে ছোট আলাপ আলোচনার পর বাপু পুজোর জন্য শ্রী বিথ্যল  ও রখুমাইয়ের  মূর্তির সামনে গিয়ে উপস্থিত হলেন, লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ এই দেব দেবীর পুজো করেন,ভালোবাসেন এবং শ্রদ্ধা করেন । এরপর বাপু ও নন্দাই ভক্তিভরে শ্রী বিথ্যল ও রাখুমাইয়ের মহা অভিষেক করেন ।মন্দিরের অধিকর্তাদের অনূরোধে পুজো শেষ হবার পর বাপু সেইখানে উপস্থিত অগুন্তি ভক্তদের ,যারা বাপুর বক্তৃতা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে বসে ছিলেন ,তাদের কিছু বলেন ।

বাপু ভক্তদের সম্বোধন করার সময়ে তাদের ভক্তির  উপকারিতা এবং সাধারণ মানুষ সহজ উপায়ে  তা কি ভাবে করতে পারেন সেই সম্পর্কে বলেন । তিনি মন্দিরের গুরুত্ব ও ইতিহাস সম্পর্কেও বলেন যা ওখানে উপস্থিত অনেকের অজানা ছিলো ।বাপু উল্লেখ করেন  যে এই পবিত্র ও প্রাচীন শ্রী বিথ্যল মূর্তি এইখানে এনেছিলেন সয়ং সন্ত তুকারাম ।উনি এও উল্লেখ করেন যে এই মন্দিরের দেবত্ত্ব মূর্তিকে কেউ যেন সাধারণ মূর্তি না মনে করেন কারণ তারাই সাখ্যাত ঈশর শ্রী বিথ্যল ও রখুমাই ।

বাপুর এই মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক দিনের পুরনো ও গভীর,সেই সব স্মৃতি বাপুর কাছে আজও খুব স্পষ্ট ।বাপুর প্রো  পিতামহ ও প্রো  মাতামহ  প্রথমবার বাপুর যখন ৭ বছর বয়স তখন তাকে এই মন্দিরে নিয়ে আসেন ।এবং এই মন্দিরেই প্রথমবার বাপুর প্রো মাতামহ তাকে "বাপু" নামে ডাকেন ।

বাপুর বক্তৃতা শেষ হবার পরে মন্দিরের অধিকর্তারা তাকে একটি শাল ও মেমেন্টো দিয়ে  সম্মান জানালেন । সব শেষে বাপু এবং নন্দাই শ্রী বিথ্যল ও রখুমাইয়ের  আরতি করলেন ।

মন্দিরে বাপুর ও নন্দাইয়ের উপস্থিতিতে ভক্তরা এবং মন্দিরের অধিকর্তারা সবাই খুবই আনন্দিত হলেন ও নিজেদের ধন্য মনে করলেন ,তারা সবাই একমতে স্বীকার করলেন যে বাপুর উপস্থিতিতে সমস্ত অনুষ্ঠান খুবই সুষ্ঠ ও ধর্মীয় বিধির সঙ্গে সম্পন্য হয়েছে ।সকাল ৬.১৫ নাগাদ বাপু মন্দির থেকে প্রস্থান করলেন ।    

Monday, 1 July 2013

ধারী দেবীর প্রকোপ (Dhara Devi)


সম্প্রতি উত্তারাখান্ডে ভীষণ  বৃষ্টি ও বন্যা হয়েছে এবং তার  ফলে মানুষের অনেক ক্ষতি  হয়েছে ।আমরা সংবাদপত্র ও টিভির  মাধ্যমে এই সব খবর পেয়েছি ।বাপু  তার কালকের বক্তৃতার সময়  এই দুর্যোগের উল্লেখ করেছেন,একটি নিবন্ধে এই সম্পর্কিত প্রত্যক্ষ কাগজে প্রকাশিত হোয়েছে,তারই বাংলা অনুবাদ এইটি ।




জনপ্রিয় বিশ্বাস যে ধারী দেবী চারধামের তীর্থযাত্রীদের রক্ষা করেণ,তাই শেষ দুই বছর ধরে উত্তারাখান্ডে
শ্রীনগর অঞ্চলের নদী অলকানন্দার তীরে অবস্থিত ধারী দেবীর মন্দীরকে ধ্বংস না করার অনুরোধ ক্রমাগত সরকারকে করা হয়েছে ,কারণ স্থানীয় বাসিন্দারা এবং ধর্মীয় সংস্থ্যাদের বিশ্বাস যে ধারী দেবী নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করেন ।সরকার কোনো কথা না মেনে ১৬ই জুন সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় মন্দির ধ্বংশ করে এবং ধারী দেবীর প্রতিমা সরিয়ে দায়ে।

ঠিক এই সময় কেদারনাথে ভীষন বৃষ্টি শুরু হয় ,দুই ঘন্টা ধরে জল ঝর হতে থাকে,হাজার হাজার তীথ্যযাত্রীরা আটকে যান ।ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে চারিদিকে হাহাকার পরে যায় ।লোকেদের নিরাপদ স্হানে নিয়ে যাবা খুব কঠীন হয়ে পরে।



মিডিয়া এই দুর্যোগের  কারণ হিসাবে সরকারকেই দায়ী বলে মানেন ,কিন্তূ স্থানীয় বাসিন্দারা ধারী দেবীর মন্দির নষ্ট  হয়ে যাবার জন্যই বিপর্জয় এসেছে বলে মনে করেন।



এই মন্দির ৮০০ বছর পুরনো ,এটি একটি প্রাচীন সিদ্ধ্যাপীঠ,এবং ধারী দেবী মা কালীর একটি প্রতিরূপ তার মূর্তী ভয়াভহ মনে হতে পারে কিন্তূ তিনি আমাদের সকলের মা আমাদের রক্ষ্যা করার জন্য তিনি এই রূপ ধারণ করেছেন ।১৮৮২সালে এক উন্মাদ রাজা মন্দির ধংস করার চেষ্টা করেন এবং একই ভাবে প্রকিতিক দুর্যোগ হয় ।



উন্নয়নমূলক প্রকল্পের নামে প্রবিত্র মন্দির ভেঙে দেওয়াকে কোনো মতেই মেনে নেওয়া যায় না ।পরিবেশ কল্যানের নামে কেন্দ্রীয় সরকার এইরখম নানা অনুমোদিত করেছেন যাতে না পরিবেশ বা স্থানীয় বাসিন্দারা উপকৃত হয়েছে।অলকানন্দা নদীর ওপর এইরমই একটি বাধ তৈরী করার জন্যই দেবীর মন্দীর ভাঙা হয় এবং তার মূল্য সাধারণ মানুষকে দিতে হচ্ছে ।সরকারের  মতে গঙ্গার ও অন্যান্য নদীর উপর বাধ তৈরির পেছনে বিদ্যূত তৈরী বিশেষ কারণ কিন্তূ তাতে জলে দুষণ দিনে দিনে বেড়ে চলেছে ,তবুও সরকার তা স্বীকার করতে রাজি নয় ।সরকারের এই আচরণ সতিই মর্মান্তিক।ইন্টারনেট এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে সাধারণ মানুষ একটি প্লাটফর্ম পেয়েছেন যেখানে তারা সরকারের এই অমানবিক আচরণ সম্পর্কে নিজেদের বক্তব্য ভাগ করে নিতে পারেন ।আর যাতে এই ভয়াভহ দুর্যোগ না  ঘটে সরকারের উচিত সংবেদনশীলতা ও বিবেচনা দিয়ে দেশের লোকের খেয়াল রাখা ,যাতে তাদের উপর মানুষের বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা বজায় থাকে ।