Thursday 21 July 2022

যিনি নিজেকে সদগুরুর চরণে সমর্পণ করেন এবং তাঁকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করেন। - সুদেশ ঘরত, বোয়সার



আমাদের জন্য আমাদের সদগুরু অসংখ্য কাজ নিত্য করে চলেছেন কিন্তু কখনই তিনি নিজেকে জাহির করেন না । কোনো শ্রদ্ধাবান যখন কোনো কাজ করেন, তা সে যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন, ঈশ্বরের ইচ্ছায় তা বৃহৎ হয়ে দেখা দেয় । আমার অভিজ্ঞতয় অন্তত তাই বলে ।

সদগুরু অনিরুদ্ধ বাপুর আমার জীবনে অনেক অনুভব আছে । এইখানে আমি তার কিছু ব্যক্ত করেছি ।

আমার স্ত্রী, সুষমা পঞ্চশীল পরীক্ষার প্রথম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন । পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর তিনি হতাশ হয়ে পড়েন । তার কারণ তার উত্তরপত্রে লেখা ছিল "পরের বার" (অনুগ্রহ করে আবার পরীক্ষায় অংশ নিন)। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে আর কখনোই তিনি পঞ্চশীল পরীক্ষায় অংশ নেবেন না । তার কারন তার মনে হয়েছিল যে তিনি এই পরীক্ষার জন্য যোগ্য নন ।

তার এই অবস্থায় আমি তাকে বাপুর কথা বলে অনুপ্রাণিত করেছিলাম যে বাপুর মতে পঞ্চশীল পরীক্ষা আমাদের জ্ঞানের পরীক্ষা নয় । এটি আসলে আমাদের ভক্তির পরীক্ষা । আমি সুষমাকে বলেছিলাম যে তিনি যেন আবার পঞ্চশীলের প্রথম পরীক্ষায় বসেন । আমি সুষমাকে বাপুর উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে বলেছিলাম । বাপু শ্রদ্ধাবানদের উদ্দেশ্যে আগেই ঘোষণা করেছিলেন - "আমি তোমাকে কখনোই ত্যাগ করবো না" (I will never forsake you) । 

সুষমা কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে নিজেই অনুভব করেছিলেন যে তার আবার পরীক্ষাতে অংশ নেওয়া দরকার । তিনি সদগুরুর উপর বিশ্বাস রেখে এগিয়েছিলেন এবং এক চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছিলো । পরম পূজ্য বাপুর কৃপায়, সুষমা চতুর্থ পরীক্ষা অবধি পৌছন এবং  চতুর্থ পরীক্ষায় তিনি ডিস্টিংকশন লাভ করেন । এই ভাবেই বাপু তাঁর নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মাধ্যমে সুষমাকে পঞ্চশীল পরীক্ষায় সাফল্যের শিখরে উঠতে সাহায্য করেন ।

Jyane dharile he paay and ani thevila vishwas !!

যিনি  সদগুরুর চরণ হৃদয়ে  ধারণ করেছেন এবং তাঁর প্রতি অটল বিশ্বাস রেখেছেন।

আমার মেয়ে শ্রেয়া আমাদের সাথে পরম পূজ্য সুচিত দাদার ক্লিনিকে সুষমার উত্তরপত্র সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন । দাদা শ্রেয়াকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, "শ্রেয়া বীরা, তুমি কি করো?"

শ্রেয়া উত্তর দিয়েছিলেন, "আমি ডি এড পড়ছি ইংরেজিতে । আসলে আমার ফার্মেসী পাড়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু বাপু আমাকে ডি এড করার জন্য গাইড করেছিলেন" । দাদা জিজ্ঞেস করেছিলেন "বাপুর সাথে তোমার কোথায় দেখা হয়েছিল ?" শ্রেয়া উত্তর দিয়েছিলেন - "বাপু আমার স্বপ্নে এসে আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন" । দাদা তার উত্তরে চমকে উঠে বলেছিলেন, "কী ! তোমার স্বপ্নে ? আর তুমি রাজি হয়ে গেলে ?" এর পরিপ্রেক্ষিতে শ্রেয়া উত্তর দিয়েছিলেন - "হ্যাঁ, আমার স্বপ্নে হলেও, বাপুর আদেশই আমার জন্যে সঠিক ।" দাদা বলে উঠেছিলেন "শ্রী রাম ! হারি ওম !"

দাদা শ্রেয়াকে আশীর্বাদ করেছিলেন এবং কি আশ্চর্য্য, পরের মাসে ডি এড প্রথম বর্ষের ফলাফল বের হয় এবং শ্রেয়া তার কলেজে প্রথম স্থান অধিকার করেন ।

আমি নিজেও পঞ্চশীল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম এবং পাঁচটি পরীক্ষাতে পাশ করি । দাদা একবার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, "তুমি আরেকবার পরীক্ষায় বসলে না কেন ?" আমি উত্তর দিয়েছিলাম, "দাদা, আমি আবার পঞ্চশীল পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেছি, কয়েকদিন আগে আমি পঞ্চশীলের দ্বিতীয় পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছি । সদগুরু বাপু আমাদের সবাইকে বারংবার পঞ্চশীল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে বলেন । বাপু বলেছিলেন যে যদি কেউ পরীক্ষায় একটু বাড়তি নম্বর পায়, তবে জেনে রাখা দরকার যে তার ভক্তি কিছুটা বেড়েছে । বাপুর এই কথা আমার ভালো লেগেছিলো" । দাদা খুশি হয়ে আমাকে বলেছিলেন "খুব ভালো" ।

আমাদের ছেলে রিতেশ গতানুগতিক পড়াশোনা পছন্দ করেন না। রিতেশ কোনোভাবে  দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ হতে পেরেছিলেন। যখন রিতেশ তার ভবিষ্যত এবং পরবর্তী কর্মপন্থা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন, তখন একদিন তার এক বন্ধু তাকে তার আগ্রহের কথা জিজ্ঞেস করেন । রীতেশ তাকে প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনে আগ্রহের কথা জানান। এটা শুনে তার বন্ধু তাকে বোরিভালির জেটকিংস কলেজে ভর্তি হতে সাহায্য করে । বাপুর কৃপাতেই এটা সম্ভব হয়েছিল । শুধু তাই নয়, বাপুর অশেষ আশীর্বাদে রীতেশ শুধু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি, পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন ।

এখন রীতেশ বাপুর কৃপায় কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন ।

বাপুর কাছে আমরা চিরঋণী । তিনি আমাদের পরিবারের জন্য যা করেছেন তার জন্য আমরা সর্বদা তাঁর কাছে ঋণী হয়ে থাকব । একজন ভক্তের ক্ষুদ্র কর্মের কত প্রশংসা করেন ঈশ্বর !

সদগুরু যখন একজন ভক্তের নাম নিজের মুখে নেন, তা তখন সেই ভক্তের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ! পঞ্চশীল পরীক্ষায় বিশিষ্টতা অর্জনকারী ভক্তদের নাম বাপু নিজের মুখে  ঘোষণা করেন এবং তা আমাদের মধ্যে অসীম আনন্দের অনুভুতির সৃষ্টি করে । এটা তাঁর ভক্তদের প্রতি বাপুর সত্যিকারের ভালোবাসার নিদর্শন !


সদগুরু বাপুর চরণে শত কোটি প্রণাম !


রান্নার সময় গ্যাস লিক হওয়া সত্ত্বেও সদগুরুর কৃপায় কীভাবে রক্ষা পেলেন তিনি। - অরুণা আলাই , অমলনের।

 



আমরা প্রায়ই পড়ে থাকি বাড়িতে গ্যাস লিক বা গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কথা। আমরা এও জানি যে এই ধরনের দুর্ঘটনা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে আর তার পরিণামও। যে শ্রদ্ধাবান আমাদের কাছে এই ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন তিনি তাঁর রান্নাঘরে গ্যাস লিক হওয়া সত্ত্বেও সদগুরু অনিরুদ্ধের (বাপু) কৃপায় রক্ষা পেয়েছিলেন। শুধু তাই নয় , তিনি সকালবেলার তাঁর চা , জলখাবার ও এমন কী তাঁর দুপুরের খাবারও তৈরি করে রেখেছিলেন  অথচ সেইসময় কোনও ক্ষতি ছাড়াই আসন্ন মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন তাঁরা।

গঙ্গাকে প্রবাহিত হতে আমরা দেখেছি। গঙ্গোত্রীতেও আমরা গিয়েছিলাম। সেই সদা প্রবাহিত জলধারা দেখে ভেবেছিলাম , হাজার হাজার বছর ধরে অবিরাম এই জলধারা কীভাবে বয়ে চলেছে ? বিজ্ঞানও এই ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারে না যে কেন এমনটা হয়ে চলেছে। বলা হয়ে থাকে , বিজ্ঞান যেখানে শেষ হয় সেখান থেকেই শুরু হয় আধ্যাত্মিকতা। তবে  অটল আস্থা থাকতে হবে ঈশ্বরের উপর , আর বিশ্বাস রাখতে হবে  সদগুরুর প্রতি। 

এই কথাই বাপু আমাদের বলেছেন বহুবার , "Ek Vishwas Asava Purta Karta Harta Guru Aisa.”  (একটা বিশ্বাস থাকতে হবে এমন যে "সদগুরু আমার কর্তা , আমার হর্তা , ত্রাণকর্তা" ) 

অরুণা আলাই বলছেন ... সত্যিই অত্যন্ত বিস্ময়কর ও অনির্বচনীয় এক অনুভব আমার হয়েছে। দিনটি ছিল , ৩রা সেপ্টেম্বর , ২০১৩ সাল। যথারীতি সকালে উঠে ,  আমি রান্নাঘরে চা বানাতে গিয়ে গ্যাস চালু করার চেষ্টা করলাম কিন্তু তা ধরাতে পারলাম না। আমার ছেলে তখন চেষ্টা করে ও পরে একটা নতুন সিলিন্ডার লাগিয়ে দিলে গ্যাস জ্বলে ওঠে। আমার বউমা তখন চা , সকালের জলখাবার ও দুপুরের খাবারও তৈরি করে নেয়। তারপর আমরা দুজনে মিলে রান্নাঘর পরিষ্কার করে নিই। 

পরে আমি , অনিলসিংহ এবং আমার মেয়ে , যখন আমরা ড্রয়িং রুমে বসেছিলাম , তখন হঠাৎ গ্যাসের গন্ধ পেলাম। কি ঘটছে বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা রান্নাঘরে ছুটে গেলাম। দেখি , গ্যাসের পাইপ দিয়ে হিস হিস শব্দে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস বের হয়ে আসছে। সারা ঘরে তখন গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে। বুঝলাম , এর অর্থ হল রেগুলেটরটি ভালভাবে লাগানো ছিল না ও তাই গ্যাস লিক হয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছিল। আমরা অবিলম্বে রেগুলেটরটি বন্ধ করে দিলাম এবং অনিলসিংহ অভিযোগ জানাতে গ্যাস কোম্পানিকে ফোন করে দিলেন।

বিকাল ৩টের সময়  মেকানিক এসে সব চেক করে , বুঝতে পারে যে রেগুলেটরটিতে ভালভ নেই। আমরা হতবাক হয়ে গেলাম। আমি মেকানিককে বললাম যে এটা অসম্ভব , কারণ আমরা মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে এই একই গ্যাস ব্যবহার করেছি।

তিনি সমানভাবে হতবাক হয়ে যান। দেয়ালে দত্তগুরু ও বাপুর ছবির দিকে তাকিয়ে বলেন " আপনাদের ওপর আপনাদের সদগুরুর আশীর্বাদ আছে আর সেজন্যই একটা বিরাট দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হলো।"

এরপর তিনি একটি ভাল্ব লাগিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারটিকে আবার ঠিক করে দিলেন। মনে মনে আমরা বাপুকে অনেক ধন্যবাদ জানালাম। বাপুর আশীর্বাদের কারণেই এই  প্রাণহানি এড়ানো গেল। আমাদের সদগুরু ভবিষ্যতে কি ঘটতে চলেছে তা জানেন। এইটাই একমাত্র সত্য যে  শ্রদ্ধাবানরা যেখানেই থাকুক না কেন ও তারা যতই ভয়াবহ অবস্থায় থাকুক না কেন , সদগুরু তাদের রক্ষা করার জন্য সর্বদা তৎপর। বাপু , আমরা অম্বজ্ঞ। 

किती आधिव्याधी तू केल्यास शान्त

रक्षिलेस मजला घोर संकटात 

विसरलास ना मला तू अहोरात 

स्मर्तृगामी बापू , दत्तगुरु ओळखलो 

अनिरुद्धा तुझा मी किती ऋणी झालो. 

কিতী আধিব্যাধী তূ কেল্যাস শান্ত 

রক্ষিলেস মজলা ঘোর সঙ্কটাত 

বিসরলাস না মলা তূ অহোরাত

স্মর্তৃগামী বাপু , দত্তগুরু ওলখলো 

অনিরুদ্ধা তুঝ্যা মী কিতী ঋণী ঝালো।